জাকির সিকদার ঃ স্কুল ও কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পরিচালিত বই পড়া কর্মসূচি ‘দেশ-ভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রম’ এ সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রকে ৩৫,০০০ বই প্রদান করছে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ। এই কর্মসূচীর আওতায় আজ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, বিকাশ এর সহযোগিতায় রাজধানীর বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে বই পড়া কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য স্কুলেও এই কর্মসুচী চালু করা হবে।ঢাকা, ফেব্রুয়ারী ০৪, ২০১৬ঃ ১লা ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হওয়া ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৬’তে বই প্রেমীরা মেলায় অংশগ্রহণকারী ১২৪ টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান থেকে বই কেনার মূল্য বিকাশ দিয়ে পরিশোধ করলে ১০ শতাংশ ক্যাশ ব্যাক পাবেন। বিকাশ গ্রাহকদের জন্য এই অফারটি চলবে বই মেলার শেষ দিন ২৯ শে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত।আসন্ন ঈদ-উল- আযহা উদযাপনের অংশ হিসেবে বিকাশ এর গ্রাহকরা দেশজুড়ে ৩৬৫টি আউটলেটে বিকাশ দিয়ে কেনাকাটায় মুল্য পরিশোধে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশ ব্যাক পাবেন।আসন্ন ঈদ-উল- ফিতর উদযাপনের অংশ হিসেবে বিকাশ এর গ্রাহকরা দেশজুড়ে ৩৮১টি আউটলেটে বিকাশ দিয়ে কেনাকাটায় মুল্য পরিশোধে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশ ব্যাক পাবেন। ঢাকা, চিটাগাং ও খুলনায় অবস্থিতএই আউটলেটগুলি দেশের সেরা ফ্যাশন, খাবার ই-কমার্স ব্র্যান্ডের অন্তর্গত। ব্যাংকিং সেবা বহির্ভূত জনগোষ্ঠীর কাছে আর্থিক সেবা পৌঁছে দেবার জন্য বাংলাদেশের অন্যতম মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ এর প্রশংসা করেছেন ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিন অং কাই। ব্যাংকিং সেবা বহির্ভূত জনগোষ্ঠীর কাছে আর্থিক সেবা পৌঁছে দেবার জন্য বাংলাদেশের অন্যতম মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ এর প্রশংসা করেছেন ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিন অং কাই।
বিকাশ হতে প্রাপ্ত এই বই ৪০০টি স্কুলে ৩০,০০০ শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। এই বই পড়া কর্মসূচি ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পরিচালিত হবে। এই কর্মসুচীর আওতায় একজন শিক্ষার্থী বছরে ১২ থেকে ১৬ বই পড়ার সুযোগ পাবে। ২০১৪ সাল থেকেই বিকাশ এই বই পড়া কর্মসূচীর সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে বিকাশ এই কর্মসূচীর জন্য যথাক্রমে ৩৪,০০০ এবং ৩০,০০০ বই প্রদান করেছে।
বিয়াম ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক নুরুল ইসলাম বই পড়া কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে বিকাশ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের হাতে অনুদানের বইগুলি তুলে দেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিকাশ এর চীফ এক্সটারনাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল (অবঃ) শেখ মোঃ মনিরুল ইসলাম এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রর ডিরেক্টর শরিফ মোঃ মাসুদ এবং বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কল্যাণময় সরকার ।
সহজ, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী মূল্যে মোবাইল আর্থিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবন মানকে উন্নত করাই বিকাশ এর বিশ্বাস ও দর্শন। একই সাথে ব্যাংকিং সেবা বহির্ভূত একটি বিশাল জনগোষ্ঠীকে একটি নিয়মতান্ত্রিক আর্থিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখছে বিকাশ। বিকাশ মনে করে বই পড়া মানুষ তাদের প্রসারিত দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে সমাজকে আলোকিত করতে পারে। নানা ক্ষেত্রে অবদান রাখার মাধ্যমে ভূমিকা রাখতে পারে দেশের উন্নয়নে। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রর এই বই পড়া কর্মসুচীর মাধ্যমে ‘ আলোকিত মানুষ’ ও ‘উন্নয়ন’ কে একই সূত্রে গাঁথতে বিকাশ আন্তরিকভাবেই সহায়তা করবে।
দেশে আলোকিত মানুষ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র গত ৩৭ বছর ধরে সারাদেশে স্কুল ও কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নানাবিধ উৎকর্ষ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। দেশ-ভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রম এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কর্মসূচী। বর্তমানে সারাদেশে এই কর্মসুচীর আওতায় প্রায় ২০০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২ লাখ ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে।
২০১১ সালে কার্যক্রম শুরু করা বিকাশ ব্যাংকিং সেবা বহির্ভূত বাংলাদেশের একটি বিশাল জনগোষ্ঠীকে সেবা প্রদানের লক্ষে নানা ধরনের মোবাইল সার্ভিস সেবা চালু করেছে। বিকাশ- ব্র্যাক ব্যাংক, ইউএস ভিত্তিক মানি ইন মোশন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের অন্তর্গত প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স কর্পোরেশন এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের এর যৌথ মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান।